আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাইভোল্টেজ ম্যাচে, বৃষ্টি আইনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ১২৪ রানে হারালো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত। কোহলি বাহিনীর দেয়া ২৮৯ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৬৪ রানে গুটিয়ে যায় সরফরাজ বাহিনী। ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে ম্যাচসেরা হয়েছেন যুবরাজ সিং।
বৃষ্টির পূর্বাভাস সত্ত্বেও, টস জিতে ফিল্ডিং নেবার মাশুল, খুব কড়া ভাবেই দিতে হলো পাকিস্তানকে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে হার আরো একবার তুলে ধরলো পাকিস্তান ক্রিকেটের বর্তমান নাজুক অবস্থাকে।
৪১ ওভারে ২৮৯ রান। লক্ষ্যটা নিঃসন্দেহে যে কোনো দলের জন্যই কঠিন। কিন্তু পাকিস্তান যে বিনা লড়াইয়ে আত্মসমর্পণ করবে, তা ভাবেননি ক্রিকেট প্রেমীরা। উমেশ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজাদের বোলিংয়ের সামনে, যেন পথ হারালেন আহমেদ শেহজাদ, বাবর আজমরা।
উদ্বোধনীতে ৪৭ রান ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি। আর আজহার আলীর ব্যক্তিগত ৫০। হাফিজ, শোয়েব মালিকরা জ্বলে উঠতেই নিভে গেলেন।
তবে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে, ঠিকই চাপ সামলেছেন রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। ভালো শুরুর পর হাত খুলে পাকিস্তানি বোলারদের বাউন্ডারি ছাড়া করেছেন দুজন। সরফরাজের ফিল্ডিং নেবার সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করে, উদ্বোধনী জুটিতে ১৩৬ রান তোলেন রোহিত-ধাওয়ান।
ছয় চার ও এক ছয়ে, ৬৫ বলে ৬৮ রান করে আউট হন ধাওয়ান। আর ৩০তম অর্ধশত তুলে, নার্ভাস নাইনটির শিকার হন রোহিত শর্মা।
এমন ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে, পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বিরাট কোহলি, যুবরাজ সিংদের। পাক-ভারত যুদ্ধের উন্মত্ততার মতো, ওয়াহাব রিয়াজ-হাসান আলীদের ডেলিভারিগুলো, কচুকাটা করতে থাকেন এ দু’ডেশিং ব্যাটসম্যান। ৬৮ বলে কোহলি ঝুলিতে আসে অপরাজিত ৮১ আর ৩২ বলে ৫৩ করে ফিরে যান যুবরাজ। ততক্ষণে ভারতের দলীয় স্কোর ৩১৯।
এসএস